বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৬ অপরাহ্ন
বরগুনা (তালতলী) থেকে মোঃ মিজানুর রহমান নাদিমঃ— মৎস্য অঞ্চল হিসেবে পরিচিত বিল বাওড় ঘেরা বরগুনা তালতলী উপজেলার আশারচর এ প্রতিবছর মৌসুমি সংসার গড়ে তোলে শুঁটকি ব্যবসায়ীরা। সাগর-নদী থেকে মাছ ধরে জেলেরা উল্লেখযোগ্য মাছের মধ্যে রয়েছে পুঁটি, শৌল, টেংরা, খলিশা, পাবদা, কৈ, শিং, মাগুর, মেনি, বৈরাগী ফলি এসব মাছ রোধে শুকিয়ে শুঁটকি তৈরি করেন আরেক দল তারা শুঁটকি শ্রমিক। শুঁটকি ব্যবসার সাথে শত শত পরিবার জড়িত।বছরের একটি সময় তারা শুঁটকি পল্লীতে বসবাস করলেও এখানে নেই কোনো সুপ্রিয় পানির ব্যবস্থা এবং পয়ঃনিস্কাষণের ব্যবস্হা। শুঁটকি পল্লীগুলো চর-অঞ্চল এ হওয়ায় নেই কোনো ভাল যোগাযোগ ব্যবস্হা।ফলে শুঁটকি ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, নিশানবাড়ীয়া খেয়াঘাট সংলগ্ন, আশারচর, সোনাকাটা, জয়ালভাঙ্গা চরের শুঁটকি পল্লীতে অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত ধরে চলে শুঁটকির প্রক্রিয়াজাতকরনের কাজ। এ উপলক্ষে মৌসুমের শুরুতে বিভিন্ন প্রকারের মাছ দিয়ে শুঁটকি উৎপাদন করে থাকে।শুঁটকি মাছ শুকানোর জন্য বাঁশের মাচান, চট ছোট্র ঝুপড়ি এ গুলো দিয়ে ব্যবস্থা করে থাকে। কেউ মাছ আহরণ করে আবার ধোয়ার কাজ করছেন। আবার কেউ কেউ বড় মাছ কাটছেন। লবন মিশিয়ে মাচানের উপরে শুকানোর কাজে ব্যস্ত। আবার কেউ শুকানোর শুঁটকি গুলো বস্তায় ভরছেন।
আশার চরের শুঁটকি ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিবছর মৌসুমের শুরুতে পল্লীতে ছুটে আসেন পর্যাপ্ত ক্রেতা। শুঁটকি সংরক্ষণের এখানে কোনো উন্নত ব্যবস্থা নেই। তাদের উৎপাদিত শুঁটকি স্থানীয় ক্রেতাদের মাঝে কম দামে বিত্রুি করা হচ্ছে। এখান থেকে শুঁটকি উৎপাদন করে আমরা বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে থাকি।
আশারচর, নিশানবাড়ীয়া, সোনাকাটা জয়ালভাঙ্গা চরের একাধিক জেলেরা জানান, শুঁটকির চাহিদা বছর ব্যাপী থাকলে ও এখানে নেই কোনো স্থায়ী শুঁটকি পল্লী। নদীতে ইলিশ মাছ না থাকার কারন বেকার অনেক জেলে নদী থেকে ছোট ছোট মাছ ধরে এনে এসব শুঁটকি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে এবং অনেক সময় তারা নিজেরা ছোট বড় মাছ গুলো রোদে শুকিয়ে যে শুঁটকি তৈরি করে শুঁটকি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে। আমরা বেকার মানুষ নদীতে মাছ ধরে উভয়ের কাছ থেকে বিক্রি করে যা আয় করি তা দিয়ে আমাদের সংসার চালাই।
শুঁটকি পল্লীর কয়েকজন শ্রমিকরা জানান, আমরা বছরে ৬মাস ধরে মাছ কাটা থেকে শুরু করে মাছ শুকানো ব্যবসায়ীদের কাছে নিয়ে যাওয়া সর্বোপরি সকল কাজ করে থাকি। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম বাকি ৬মাস অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাতে হয়। ছেলে-মেয়েদের লেখা-পড়া করাতে কষ্ট হয়। এসব কাছ যা আয় করি তা দিয়ে কোনো মতে জীবন-যাপন করি।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জনাব শামীম রেজা মুঠোফোনে জানান, আমরা সরেজমিন এ গিয়ে পরিদর্শন করে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কে জানানো হয়েছে এবং মৎস্য অধিদপ্তর থেকে পর্যায়ক্রমে পদক্ষেপ নিবে।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply